ঢাকা , শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫ , ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমরা দাসত্বের মধ্যে থাকতে চাই না -প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতরা যে কারও বাসায় যেতে পারেন-পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সব ধরনের ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা ক্লাব সংগঠনের ফের মাঠে নামছে এনসিপি আরও কঠিন হচ্ছে আ’লীগের ফেরার পথ বিএনপি চায় সংসদে জামায়াত গণভোটে আমতলীত ও তালতলীতে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, জেলেদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে হাসপাতাল মর্গে বেওয়ারিশ লাশের স্তূপ যানজটে আটকা সড়ক উপদেষ্টা, ১২ কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী গণভোটে নোট অব ডিসেন্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আহ্বান আলী রীয়াজের দৈনিক জনতার প্রকাশক ছৈয়দ এম আন্ওয়ার হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবাষির্কী আজ আজ হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ফিফার কমিটিতে বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল আমি আশাবাদী, আমরা ভালো করতে পারব : শমিত সিরিয়ার বিপক্ষে দারুণ জয় পেলো মেয়েরা ভারতের আম্পায়ারই কাল হলো বাংলাদেশের? ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করেও জিততে পারলোনা বাঘিনীরা বাংলাদেশ সফরের জন্য টেস্ট দল ঘোষণা দিলো আয়ারল্যান্ড প্রথমবারের মতো মাদ্রাসা ক্রিকেট চালু করতে যাচ্ছে বিসিবি

আমতলীত ও তালতলীতে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, জেলেদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে

  • আপলোড সময় : ০৯-১০-২০২৫ ০২:৫৪:২১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-১০-২০২৫ ০২:৫৪:২১ অপরাহ্ন
আমতলীত ও তালতলীতে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, জেলেদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে
এসএম সুমন রশিদ, আমতলী(বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনা আমতলী, তালতলী ও পাথরঘাটায় সারা দেশের মতোই আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, বেচাকেনা, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পর্যাপ্ত ইলিশ নিশ্চিত করতে এই সময়ে জেলেদের কঠোরভাবে মাছ ধরা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস অধিদপ্তর। তারই ধারাবাহিকতায় বরগুনার আমতলীতে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, এ সময়ে কোনো জেলে, ব্যবসায়ী বা পরিবহনকারী আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডেদণ্ডিত করা হতে পারে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় জানিয়েছেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশকে রক্ষাই এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য। জাতীয় মাছ ইলিশ দেশের অর্থনীতি ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হলে ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং জেলেরা আরও বেশি ইলিশ আহরণ করতে পারবেন। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রোকনুজ্জামান খান বলেন, আইন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে কাজ করবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে এই প্রচারণায় যুক্ত করা হবে। নদী ও হাটবাজারে নিয়মিত টহল চালানো হবে এবং কোনোভাবেই যাতে আইন ভঙ্গ না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারি থাকবে। এ সময় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারিভাবে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমও চলবে, যাতে সবাই বুঝতে পারে—মা ইলিশ রক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ মৎস্য ভাণ্ডার তৈরি করা সম্ভব। সার্বিকভাবে, আমতলী উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে—নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সকলের সহযোগিতা জরুরি, যাতে ইলিশের স্থায়িত্ব ও দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য